ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, ভারতে এখনো সন্ত্রাস ও উগ্র
বামপন্থীদের হুমকি বিরাজ করছে এবং এ সবের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি
আরো বলেন, ভারত কঠোরহস্তে এ সব হুমকি মোকাবেলা
করবে। নয়াদিল্লিতে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠক উদ্বোধনের পর তিনি এ সব মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরো মারাত্মক হয়ে উঠছে এবং সীমান্তজুড়ে তাদের তৎপরতা আরো বেড়ে গেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের মতো এ সব মোকাবেলায় সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। অবশ্য জম্মু ও কাশ্মিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে জানান মনমোহন।
এর আগে ওই বৈঠকের
উদ্বোধন করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম বলেছেন,উগ্র বামপন্থীরা এখনো ভারতের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে কাজ করছে।
ভারতে নক্সাল বা মাওবাদী গেরিলাদের সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিদাম্বরম বলেন,ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বিশেষ করে অসমে উগ্র বামপন্থীদের বিস্তার ঘটছে। তাদের এ বিস্তার ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
অবশ্য ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরীক তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে যোগ দেন নি।
এদিকে,ভারতে সন্ত্রাসবিরোধী বিতর্কিত নতুন গোয়েন্দা সংস্থা এনসিটিসি গঠনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না এ বৈঠকে। মমতাসহ উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এর আগে বলেছিলেন, এ বৈঠকে এনসিটিসি গঠনের বিষয়ে আলোচনার পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ থাকবে না। ফলে এ বিষয়ে আগামী মাসের ৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র।
ইউপিএ জোটের তৈরি রূপরেখা অনুযায়ী- সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা সম্পর্কিত আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ অপারেশন চালানো এবং নাশকতা পরবর্তী তদন্ত -এ তিনটি দায়িত্ব থাকবে প্রস্তাবিত এনসিটিসি'র হাতে। কিন্তু বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এ ধরনের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা গঠন করা হলে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার কাঠামো দুর্বল এবং রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
ভারতে নক্সাল বা মাওবাদী গেরিলাদের সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিদাম্বরম বলেন,ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বিশেষ করে অসমে উগ্র বামপন্থীদের বিস্তার ঘটছে। তাদের এ বিস্তার ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
অবশ্য ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরীক তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে যোগ দেন নি।
এদিকে,ভারতে সন্ত্রাসবিরোধী বিতর্কিত নতুন গোয়েন্দা সংস্থা এনসিটিসি গঠনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না এ বৈঠকে। মমতাসহ উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এর আগে বলেছিলেন, এ বৈঠকে এনসিটিসি গঠনের বিষয়ে আলোচনার পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ থাকবে না। ফলে এ বিষয়ে আগামী মাসের ৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র।
ইউপিএ জোটের তৈরি রূপরেখা অনুযায়ী- সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা সম্পর্কিত আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ অপারেশন চালানো এবং নাশকতা পরবর্তী তদন্ত -এ তিনটি দায়িত্ব থাকবে প্রস্তাবিত এনসিটিসি'র হাতে। কিন্তু বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এ ধরনের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা গঠন করা হলে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার কাঠামো দুর্বল এবং রাজ্য মুখ্যমন্ত্রীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
No comments:
Post a Comment