প্রতিদিন
২৪ ডেস্ক
কাশ্মিরে
তুষারধসে চাপা পড়া ১২৪ সৈন্যসহ ১৩৫ পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তের কাছে কারাকোরাম পর্বতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ন সদরদপ্তর শনিবার সকালে বরফচাপা পড়ে।
ভারতীয় সীমান্তের কাছে কারাকোরাম পর্বতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ন সদরদপ্তর শনিবার সকালে বরফচাপা পড়ে।
১২৪ সৈন্য ও ১১ জন বেসামরিক ব্যক্তি তুষারের নিচে চাপা পড়ার ১৭ ঘণ্টা পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিভি জানায়, ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরসহ এর আশপাশে এক কিলোমিটার এলাকা ৮০ ফুট পুরু বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ঘটনার পর ১৭ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় ওই পুরু বরফের নিচে চাপা পড়া কেউ আর বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
“এ ধরনের তুষারধসের ঘটনা সাধারণত রাতে ঘটে। আর এটি হয়েছে ভোর ৬টায়। দুর্ঘটনায় পড়া সেনাদের বিস্ময় কাটার আগেই তারা সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যায়,” বলেন আব্বাস।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজের জন্য হেলিকপ্টার এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবহিনী। উদ্ধারকাজের জন্য রাওয়ালিপিণ্ডি থেকে ভারী প্রকৌশল যন্ত্রপাতিও উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে পুরু বরফ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে সেনা কর্মকর্তারা জানান। ধসে পড়া তুষারে সদর দপ্তর ভবনটি সম্পূর্ণ চাপা পড়ে আছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চাপা পড়া ব্যাটেলিয়নটি ‘সিক্স নর্দান লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন’, এর সব সেনাসদস্যসহ ব্যাটেলিয়নটিতে কর্মরত ১১ বেসামরিক ব্যক্তিও তুষারের নিচে চাপা পড়েছে।
চাপা পড়া সেনা ঘাঁটিটির অবস্থান ছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাশ্মির এলাকার কারাকোরাম পর্বতমালার ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহের কাছে। বিশ্বের অন্যতম কঠোর প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সিয়াচেন হিমবাহ এলাকাটি পরিচিত।
সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের প্রধানতম সামরিক উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। সামরিক কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হিমবাহটির দখল নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েক দশকধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং একাধিক লড়াইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
গত ২০ বছর ধরে ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরটি এই একই জায়গায় থাকলেও আগে কখনও এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment