Sunday, April 8, 2012

সিরিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো ইচ্ছে তাদের নেই


প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
সিরিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে যে সে দেশের শহরগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো ইচ্ছে তাদের নেইসে দেশে বছরব্যাপী সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছে তা কার্যকর হওয়ার দুদিন আগে এই ঘোষণা করা হলো


জাতিসংঘের বিশেষ দূত কফি আনান সিরিয়ার সংকট সমাধানে যে ছদফা পরিকল্পনা দিয়েছেন তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন শর্ত হচ্ছে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ এপ্রিলের মধ্যে সব ধরনের সশস্ত্র হানাহানি বন্ধ করতে হবে, এবং ১২ এপ্রিলের মধ্যে অস্ত্র বিরতি পালন করতে হবে

কিন্তু সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এখন বলছে, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিতে সরকারের অবস্থানকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে

এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সরকার বলছে, সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার করা হলেও, বিরোধী গোষ্ঠীগুলো যে অস্ত্রসংবরণ করবেই, এমন কোন লিখিত নিশ্চয়তা আনান তার প্রস্তাবে দিতে পারেননি

একই সাথে কাতার, সৌদি আরব এবং তুরস্ক, যারা সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও টাকা দিতে সাহায্য সহযোগিতা করছে বলে সরকারের অভিযোগ, তারাও যে সেই সমর্থন দেয়া বন্ধ করবে, এমন কোন গ্যারান্টিও আনানের প্রস্তাবে নেই বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে

ওদিকে সিরিয়ায় শনিবার বছরের সবচেয়ে শোচনীয় হানাহানিতে একদিনেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬০ জন বেসামরিক মানুষ
কফি আনান এক বিবৃতিতে বলেছেন, সিরিয়ার শহর-বন্দর-গ্রামে যেসব নৃশংসতা চলছে, তার খবর পেয়ে তিনি স্তম্ভিত
এসব কর্মকাণ্ড তাকে দেয়া কথার বরখেলাপ বলে তিনি উল্লেখ করেন

বিবিসির সংবাদদাতা জিম মিউর জানিয়েছেন, শনিবার হামা প্রদেশের আল লাটামনেহ শহরে সরকার জোরালো আক্রমণ চালায়

শহরে খোলা ট্রাকে লাশ বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় লোকজনের চোখের সামনেসেখানকার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, শহরে ৩০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছেইন্টারনেটে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, মৃতদের কবর দেয়ার সময় সেখানে চলছে শোকের মাতম

এদিকে সিরিয়ার দক্ষিণে হোমস শহরের ডের আল বালবা অঞ্চলে সরকারি বাহিনী ট্যাংক থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ১৩টি মৃতদেহের স্তুপতবে এই ভিডিওতে যা দেখানো হচ্ছে, তা সত্য কিনা, যাচাই করা সম্ভব হয়নি

সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধের জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে, তার আগে সংঘাত যেন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে

যেকোনো যুদ্ধবিরতির আগে সরকার যে কোন মূল্যে বিরোধীদের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিতে সংকল্পবদ্ধ, এরকম একটা সংকেতই বরং পাওয়া যাচ্ছে

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এসবের জন্য সিরিয়ার সরকারকেই দায়ী হতে হবেকিন্তু জাতিসংঘের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিরিয়ার সরকার সংঘাতের জন্য দোষ চাপিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের

তারা বলছে, সরকার কফি আনানের শান্তি প্রস্তাব মেনে নেয়ার পর বিদ্রোহীরাই বরং তাদের আক্রমণ তীব্রতর করেছে

No comments:

Post a Comment