Friday, April 13, 2012

দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত সংঘর্ষ পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নেয়ার আশঙ্কা


প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
সুদানের সঙ্গে দক্ষিণ সুদানের গত তিনদিনের সীমান্ত সংঘর্ষ পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নেয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ার পর জাতিসংঘ এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ সুদানের একজন সেনা মুখপাত্র বলেছেন, সুদানের সেনাবাহিনী আজ (বৃহস্পতিবার) দু'দেশের সীমান্তবর্তী বেনতিউ শহরে বোমাবর্ষণ করেছে। এর ফলে একজন
নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। একটি সেতু ধ্বংস করতে জঙ্গীবিমান দিয়ে ওই হামলা চালানো হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনী গত সোমবার সুদানের 'দক্ষিণ কোরদোফান' প্রদেশের তেলসমৃদ্ধ হেগলিগ এলাকা দখল করে নেয়। খার্তুম বলেছে, হেগলিগ মুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য সব পন্থা অবলম্বন করা হবে। 
তবে আজ সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বাশির দক্ষিণ সুদানের অভ্যন্তরে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার দেশ থেকে দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করতে সীমান্ত লঙ্ঘন করবে না খার্তুম। তিনি দক্ষিণ সুদান কর্তৃপক্ষকে সংযত আচরণেরও পরামর্শ দিয়েছেন। 
কিন্তু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিইর হেগলিগ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ সুদানের ওই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানালেও কিইর আজ দক্ষিণ সুদানের পার্লামেন্টে বলেছেন, "আমি হেগলিগ থেকে সরে আসার নির্দেশ সেনাবাহিনীকে দেবো না।"
এ অবস্থায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সুদান ও দক্ষিণ সুদানের কঠোর মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছে। পরিষদ সুদানের হেগলিগ থেকে সরে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি সুদানকে তার দক্ষিণের প্রতিবেশি দেশে হামলা না চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন লড়াই ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, উভয় দেশের উচিত পরস্পরের ভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা।
গত বছরের জুলাই মাসে পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় খ্রীষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদান স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ভাগাভাগিতে অবিভক্ত সুদানের শতকরা ৭৫ ভাগ তেলক্ষেত্র খ্রীস্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদান নিয়ে নেয়। তারপরও সুদানের মূল ভূখণ্ডের অন্তর্গত হেগলিগ তেলক্ষেত্রের মালিকানাও দাবি করছে দক্ষিণ সুদান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এরইমধ্যে তিনবার সংঘর্ষ হয়েছে।#

No comments:

Post a Comment