প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
বাংলাদেশ যাতে ভারত থেকে
তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানি করে সেই মর্মে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলতে বাণিজ্য
মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ করেছে ভারতের বস্ত্রপণ্য প্রস্ততকারকদের প্রধান সংগঠন, কনফেডারেশন অফ ইণ্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিটি)৻
সিটি-র মহাসচিব ডি কে নায়ার বিবিসিকে বলেন, বিনাশুল্কে ভারতে আমদানি হয়ে আসা বস্ত্রপণ্যের উপর এই শর্ত
প্রয়োগ করা জরুরি৻
এই প্রসঙ্গে মিঃ নায়ার বলেন, “চিনের বস্ত্র কাঁচামাল হিসাবে বাংলাদেশে যাচ্ছে এবং
রেডিমেড পোশাকে পরিণত হচ্ছে৻ পরে তা ঢুকছে ভারতের বাজারে৻ আমার মনে হয়, একটা শর্ত ভারতের দেওয়া উচিত৻ শর্তটি হলো বিনাশুল্কে বাংলাদেশের পোশাক তখনই ঢুকতে দেওয়া হবে
যখন তা ভারতের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হবে৻”
চিনের বস্ত্র কাঁচামাল হিসাবে
বাংলাদেশে যাচ্ছে এবং রেডিমেড পোশাকে পরিণত হচ্ছে৻ পরে তা ঢুকছে ভারতের বাজারে৻
তিনি
বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিনাশুল্কে তৈরি পোশাক আসার ফলে ভারতের কাপড়, সুতো এবং পোশাক শিল্প মার খাচ্ছে৻
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ
সফরের সময়ে ৪৭টি বস্ত্রপণ্যকে বিনাশুল্কে ভারতে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো৻ এর মধ্যে বেশকিছু তৈরি
পোশাক ছিলো৻
ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ সেসব পোশাকের কাঁচামাল চিন থেকে
বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে আর তাতে ক্ষতি হচ্ছে তাদের৻
এর ফলে ভবিষ্যতে তাঁরা আরো বড় বিপদে পড়বেন বলে উদ্বেগ
প্রকাশ করলেন মিঃ নায়ার৻
ভারতের তুলনায় চিনের কাপড়
অনেকটাই সস্তা
কিন্তু ভারতের বস্ত্রপণ্য প্রস্ততকারকদের এই দাবি
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা প্রত্যাখান করেছেন।
বিজিএমইএ-র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বিবিসিকে বলেন, ভারতের তুলনায় চিন অনেক সস্তায় কাপড় জোগান দিচ্ছে৻
“ভারতের তুলনায় চিনের কাপড়
অনেকটাই সস্তা৻
একটা ডেনিম ফ্যাব্রিক যদি চিনে গজপিছু দুই ডলার হয়, তবে ভারতে তা দুই ডলার বিশ সেন্ট৻ ফলে আপনি যখন হাজার হাজার গজ কিনছেন
তখন প্রতিযোগিতায় আপনি অনেকটাই পিছনে পড়ে যাচ্ছেন"।
মিঃ মহিউদ্দিন জানালেন, গত ছ’মাসে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের
তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকদের ব্যবসা বেড়েছে ১০০ শতাংশ৻
তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে
সুতা ও তুলো সহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করলেও দামের কারণে কাপড় আমদানিতে তারা
উৎসাহী হন না।
No comments:
Post a Comment