Wednesday, April 11, 2012

গুন্টার গ্রাসের নোবেল কেড়ে নেয়ার দাবি নাকচ করেছে সুইডিশ একাডেমি


ইরানে সম্ভাব্য ইসরাইলি হামলা ও ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে কবিতা লেখার দায়ে একদল ইসরাইলি লেখক সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার বিজয়ী জার্মান লেখক গুন্টার গ্রাসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে,তবে সুইডেনের সংশ্লিষ্ট একাডেমি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। সুইডিশ একাডেমির
স্থায়ী সচিব পিটার এনগ্লান্ড গতকাল এ ব্যাপারে বলেছেন, "গুন্টার গ্রাস ১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কেবল সাহিত্য-মানের কারণে এবং একমাত্র মানের ভিত্তিতেই- আর এ বিষয়টি সাহিত্যের অন্যান্য নোবেল বিজয়ীদের জন্যও প্রযোজ্য।'' তিনি আরও বলেছেন, "ওই পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সুইডিশ একাডেমিতে কোনো আলোচনা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।'' ইসরাইলের হিব্রু লেখক সমিতি গুন্টার গ্রাসের "অবশ্যই যা বলা দরকার" শীর্ষক ওই কবিতার নিন্দা জানিয়েছে এবং অন্যান্য দেশের লেখকদেরকেও ওই কবিতার নিন্দায় শরিক হতে বলেছে। জার্মানীর একটি দৈনিকে গত সপ্তায় ওই কবিতা প্রকাশিত হওয়ার পর একদল বর্ণবাদী ইহুদী ও জার্মান কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দখলদার ইসরাইল সেখানে গুন্টার গ্রাসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। 
এদিকে গুন্টার গ্রাস বলেছেন, ইসরাইল সম্পর্কে উচিত কথা বলায় তার প্রতি সমর্থনসূচক বার্তার বিপুল স্তুপ জমে উঠছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র "ভঙ্গুর হয়ে পড়া বিশ্ব শান্তিকে বিপদাপন্ন করছে" বলে গুন্টার গ্রাস ওই কবিতায় মন্তব্য করেছিলেন। তিনি আরো লিখেছিলেন, আমি আর নিরব থাকব না, কারণ, আমি পাশ্চাত্যের কপটতায় বিতৃষ্ণ হয়ে পড়েছি। "
জার্মানি সম্প্রতি ইসরাইলের কাছে ছয়টি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন বিক্রির যে পরিকল্পনা করেছে তার প্রতিবাদে এ কবিতা লিখেছেন গুন্টার গ্রাস। জার্মানির এসব সাবমেরিন পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এর আগে, ১৯৯৮ এবং ২০০০ সালে ইসরাইলকে ডলফিন মডেলের দু'টি সাবমেরিন দেয়া হয়েছে। 
গত ৭ এপ্রিল বার্লিনের প্রায় এক হাজার জার্মান নাগরিক গুন্টার গ্রাসের বক্তব্যের সমর্থনে মিছিল করেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হুমকি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ব্রিমিরহ্যাভেনর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে যে সব ব্যানার ছিল তাতে লেখা ছিল 'গুন্টার গ্রাস ঠিক বলেছেন'এবং 'ধন্যবাদ তোমাকে গুন্টার গ্রাস'। সমগ্র জার্মানিতে গুন্টার গ্রাসে'র সমর্থনে অনুরূপ প্রায় ৭০টি মিছিল হয়েছে।

No comments:

Post a Comment